Brijraj Bhawan Palace Hotel ব্রিজ রাজ প্যালেসে হোটেল।




Monimala. মনিমালা। show

Summary: <p>১৮৩১ শতকে ভারতে কবে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং ভারতের বেশিরভাগ শহর পুরোপুরি ব্রিটিশদের অধীনে ছিল এই পরিস্থিতিতে কোটা কোটা রাজস্থানের যা অন্যতম বড় শহর হিসেবে পরিচিত ছিল পুরোপুরি ব্রিটিশ আধিকারিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং রাজা কথোপকথনের পুতুলের মত কাজ করতো।</p><p>সাধারণত ব্রিটিশ শাসনের কথা বললেই ভারতীয়দের চোখের সামনে সবার আগে ভেসে ওঠে অত্যাচারের ছবি। স্বাভাবিক, বেশ অনেক ব্রিটিশ শাসক কম অত্যাচার তো আর করেননি নেটিভদের উপরে!</p><p>কিন্তু, ওই ব্রিটিশদের মধ্যেই ভালও তো ছিল! যাঁদের অনেকেই নেটিভদের প্রচুর উপকারও করেছেন।</p><p>অথচ, সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে ভারতীয় সিপাহিরা সে সব বিচারের মতো অবস্থাতেই ছিল না। সে সময় এক দিকে ব্রিটিশরা বিদ্রোহ দমনের জন্য বিচার না করে অকাতরে মেরে ফেলছেন ভারতীয়দের! আর অন্য দিকে, ভারতীয় সিপাহিরাও সাদা চামড়া দেখলেই নির্দ্বিধায় হত্যা করছে! অফিসারদের আবাস হিসেবে তারা হাজার ১৮৩০ সালে একটি প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন এবং এর নাম রেখেছিলেন ব্রিরাজ্ রাজ প্রাসাদ। যার একটি উল্লেখযোগ্য আক্ষরিক অর্থ হলো ব্রিটিশ রাজ প্রাসাদ। যদিও এর দ্বিমত আছে। অনেকেই মনে করেন এই নামকরণ করা হয়েছিল স্বাধীনতা-উত্তর রাজা বৃজরাজের নামে। </p><p>সে ভাবেই সিপাহিদের বিদ্রোহের মুখে পড়েন মেজর বার্টন। দুই ছেলে নিয়ে তিনি সেই সময়ে থাকতেন কোটার ব্রিজ রাজ প্যালেসে। ক্ষিপ্ত সিপাহিরা প্রাসাদ ঘেরাও করে। এবং হত্যা করে দুই সন্তান-সহ মেজর বার্টনকে।</p><p>নিয়তির এমনই পরিহাস, সিপাহিরা চাইলেও প্রাসাদছাড়া করতে পারেনি বার্টনকে। আজও তাঁর অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্যালেসে।</p><p>এর অনেক দিন পরে কোটার মহারানি সেই প্রাসাদে থাকতে আসেন। বার্টনকে যে ঘরে হত্যা করা হয়েছিল, সেটা ছিল রানির বসার ঘর। রানি একদা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি অনেকবার মেজর বার্টনকে প্রাসাদে দেখেছেন।</p><p>পরে ১৯৮০ সালে এই প্যালেস হস্তান্তরিত হয়। রানি চলে যান অন্যত্র। ঐতিহ্যবাহী এই প্যালেস পরিণত হয় বিলাসবহুল হোটেলে।এবং, অভিযোগ জানাতে থাকেন অনেকেই, তাঁরাও দেখেছেন মেজর বার্টনকে।তবে আজ পর্যন্ত কারও কোনও ক্ষতি করেননি মেজর। গভীর রাতে একটা বেত হাতে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ব্রিজরাজ ভবনে।</p><p><br></p><p>শুধু একটা ব্যাপারেই রেগে যান তিনি! যদি দেখেন কোনও পাহারাদার কাজে ফাঁকি দিয়ে ঘুমোচ্ছে</p><p>তখন কী করেন মেজর?</p><p><br></p><p>উঁহু! বেত নয়! সোজা গিয়ে একটা থাপ্পড় কষান সেই ঘুমন্ত পাহারাদারকে!</p><p><br></p><p>তাই আবার ঘুরে-ফিরে আসতে হয় সেই লীলা মজুমদারের কথায়! কে বলেছে, ভূত মানেই সে খারাপ হবে?</p><p><br></p><p><br></p>