Monimala. মনিমালা। show

Monimala. মনিমালা।

Summary: মনিমালা, এই পডকাস্ট টি কিছু ভালো লাগা আর কিছু ভালোবাসার গল্প , মনের গভীরে সেই সব গল্প জমে আছে তারই প্রতিচ্ছবি। এইখানে অনেক বিষয়ের উপরে আমরা আলোকপাত করবো। কিছু আকর্ষণীয় আবার কিছু ঘ্যান ঘেনে। তবে সবই ভালোলাগার। আমার সঙ্গে থাকুন একসঙ্গে গল্প করবো অনেকক্ষন। ....

Join Now to Subscribe to this Podcast
  • RSS
  • Artist: Samrat Dey
  • Copyright: Copyright 2021 Samrat Dey

Podcasts:

 Brijraj Bhawan Palace Hotel ব্রিজ রাজ প্যালেসে হোটেল। | File Type: audio/mpeg | Duration: 482

১৮৩১ শতকে ভারতে কবে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং ভারতের বেশিরভাগ শহর পুরোপুরি ব্রিটিশদের অধীনে ছিল এই পরিস্থিতিতে কোটা কোটা রাজস্থানের যা অন্যতম বড় শহর হিসেবে পরিচিত ছিল পুরোপুরি ব্রিটিশ আধিকারিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং রাজা কথোপকথনের পুতুলের মত কাজ করতো।সাধারণত ব্রিটিশ শাসনের কথা বললেই ভারতীয়দের চোখের সামনে সবার আগে ভেসে ওঠে অত্যাচারের ছবি। স্বাভাবিক, বেশ অনেক ব্রিটিশ শাসক কম অত্যাচার তো আর করেননি নেটিভদের উপরে!কিন্তু, ওই ব্রিটিশদের মধ্যেই ভালও তো ছিল! যাঁদের অনেকেই নেটিভদের প্রচুর উপকারও করেছেন।অথচ, সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে ভারতীয় সিপাহিরা সে সব বিচারের মতো অবস্থাতেই ছিল না। সে সময় এক দিকে ব্রিটিশরা বিদ্রোহ দমনের জন্য বিচার না করে অকাতরে মেরে ফেলছেন ভারতীয়দের! আর অন্য দিকে, ভারতীয় সিপাহিরাও সাদা চামড়া দেখলেই নির্দ্বিধায় হত্যা করছে! অফিসারদের আবাস হিসেবে তারা হাজার ১৮৩০ সালে একটি প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন এবং এর নাম রেখেছিলেন ব্রিরাজ্ রাজ প্রাসাদ। যার একটি উল্লেখযোগ্য আক্ষরিক অর্থ হলো ব্রিটিশ রাজ প্রাসাদ। যদিও এর দ্বিমত আছে। অনেকেই মনে করেন এই নামকরণ করা হয়েছিল স্বাধীনতা-উত্তর রাজা বৃজরাজের নামে। সে ভাবেই সিপাহিদের বিদ্রোহের মুখে পড়েন মেজর বার্টন। দুই ছেলে নিয়ে তিনি সেই সময়ে থাকতেন কোটার ব্রিজ রাজ প্যালেসে। ক্ষিপ্ত সিপাহিরা প্রাসাদ ঘেরাও করে। এবং হত্যা করে দুই সন্তান-সহ মেজর বার্টনকে।নিয়তির এমনই পরিহাস, সিপাহিরা চাইলেও প্রাসাদছাড়া করতে পারেনি বার্টনকে। আজও তাঁর অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্যালেসে।এর অনেক দিন পরে কোটার মহারানি সেই প্রাসাদে থাকতে আসেন। বার্টনকে যে ঘরে হত্যা করা হয়েছিল, সেটা ছিল রানির বসার ঘর। রানি একদা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি অনেকবার মেজর বার্টনকে প্রাসাদে দেখেছেন।পরে ১৯৮০ সালে এই প্যালেস হস্তান্তরিত হয়। রানি চলে যান অন্যত্র। ঐতিহ্যবাহী এই প্যালেস পরিণত হয় বিলাসবহুল হোটেলে।এবং, অভিযোগ জানাতে থাকেন অনেকেই, তাঁরাও দেখেছেন মেজর বার্টনকে।তবে আজ পর্যন্ত কারও কোনও ক্ষতি করেননি মেজর। গভীর রাতে একটা বেত হাতে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ব্রিজরাজ ভবনে।শুধু একটা ব্যাপারেই রেগে যান তিনি! যদি দেখেন কোনও পাহারাদার কাজে ফাঁকি দিয়ে ঘুমোচ্ছেতখন কী করেন মেজর?উঁহু! বেত নয়! সোজা গিয়ে একটা থাপ্পড় কষান সেই ঘুমন্ত পাহারাদারকে!তাই আবার ঘুরে-ফিরে আসতে হয় সেই লীলা মজুমদারের কথায়! কে বলেছে, ভূত মানেই সে খারাপ হবে?

 Morgan House kalimpong . কালিম্পংয়ের মরগ্যান হাউস। | File Type: audio/mpeg | Duration: 445

কালিম্পংয়ের মরগ্যান হাউস নামটা শুনলেই যাঁরা জানেন, তাঁদের শিরদাঁড়া দিয়ে একটা হিমেল স্রোত বয়ে যায়। কেউ কেউ সেখানে মরগ্যান সাহেব ও তাঁর স্ত্রীর ভূতকে বলে দাবি করেন। অনেকে আবার কয়েক রাত কাটিয়ে জানান তাঁরা কিছুই দেখেননি।কারও মতে রাতভর দুমদাম আওয়াজ হয়। কে যেন কাঁদে। কেউ নাম ধরে ডাকে মাঝরাতে। আবার কারও মতে বাথরুমে জলের কল নিজেই খোলে নিজেই বন্ধ হয়। আবার রাতে বাথরুমে গেলে লাইট নিভে যায়। সব মিলিয়ে অদ্ভুত এক আবহে এখনও পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউস।প্রতি বছর পর্যটন মরশুমে এখানে ফাঁকা পাওয়া মুশকিল। অনেকে আগাম বুকিং না করেও চলে যান সেখানে। তারপর ঘর না পেয়ে মন খারাপ করেন। তাই পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে মরগ্যান হাউসের পাশে ছোট ছোট কটেজ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। অন্তত আরও বেশি কিছু লোককে সেখানে যায়গা করে দেওয়ার জন্য। তাতে খুশি পর্যটকরাও। রাজস্ব বৃদ্ধিতে খুশি পর্যটন দফতরও।তবে শুধু ভূতের ভয়ই এখানকার ইউএসপি, তা নয় কিন্তু। ব্রিটিশ স্থাপত্যে তৈরি লণ্ডন, স্কটল্যান্ডে তৈরি কান্ট্রিসাইড সাহেবি বাংলো। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে পোড়োবাড়ি। আসলে, ভিতরটা ঝাঁ চকচকে করলেও বাইরের চেহারাটা ইচ্ছে করেই বদলানোর চেষ্টা হয়নি। পুরনো আকর্ষণ বজায় রাখতেই তা করা হয়েছে।

 ভয়ংকর এক রাত্রি (Episode 15) | File Type: audio/mpeg | Duration: 675

গাড়ি থেকে যখন এই স্টেশনে নামি রাত তখন ঠিক একটা।যাত্রিদের স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে রেল গাড়িটি আবার চলতে লাগলো। সঙ্গে থাকা ব্যাগটা কাঁদে ঝুলিয়ে স্টেশন মাস্টারের রুমের দিকে গেলাম। ভিতরে ঢুকতে দেখি সেখানে একজন লোক বসে আছে।উনি হয়তো স্টেশন মাস্টার। তাকে গিয়ে জিগাস করলাম এখান থেকে রসুলপুর কত দূর? তিনি উত্তর দিলেন এখান থেকে রসুলপুর ৬ কি:মি রাস্তা।কিন্তু এত রাতে এখান থেকে রসুলপুর যাওয়ার কোন ভ্যান পাওয়া যাবেনা। তাই রাতটা কষ্ট করে এখানে কাটাতে। তার সাথে কথা শেষ করে ঐ রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।

 Hotel Raj Kiran, Lonavala . হোটেল রাজ কিরণ লোনাভেলা। | File Type: audio/mpeg | Duration: 322

মু্ম্বই থেকে শ’খানেক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লোনাভেলা। আর সেখানেই রয়েছেহোটেল রাজ কিরণ নামের একটি হোটেল। বাইরে থেকে দেখে আর পাঁচটা সাধারণ হোটেলের মতোই মনে হবে। কিন্তু এই হোটেলের আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এর ভিতরের একটি ঘরে। একতলায় রিসেপশনের ঠিক পিছনেই রয়েছে সেই অভিশপ্ত ঘরটি। যেখানে রাত্রি বেলা নাকি হানা দেয় অশরীরী আত্মারা।

 My Paranormal Experiences of Real Ghost. আমার ভৌতিক অভিজ্ঞতা-1 | File Type: audio/mpeg | Duration: 623

আমার ছোটবেলার কিছু টুকরো স্মৃতি তোমাদের সঙ্গে share করলাম। আজকের টি আমার ৮ বছর বয়সের। বাঘাযতীন এলাকার ঘটনা। তখনও আধুনিক কলকাতার ছাপ পড়েনি আমাদের মধ্যে। আমরা তখনও ছোট ছোট আনন্দ হাসি নিয়ে খুশি থাকতাম। এই সময় কার ই কিছু অলৌকিক -অদ্ভূত অভিজ্ঞতার কথা তোমাদের জানালাম।

 ধর্মতলার হানাবাড়ি | File Type: audio/mpeg | Duration: 293

হান্টার অ্যাণ্ড কোম্পানী ছিল সেকালের একটি বিখ্যাত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। মিঃ লুইস কুপার ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক। বৌবাজারে এখন যেখানে সেন্ট জেভিয়ার গর্জাটি অবস্থিত, ঐখানে একটি বাড়িতে তিনি স্ত্রী-পুত্র নিয়ে বাস করতেন। বৌবাজার তখন অভিজাত পাড়া ছিল। দৈবদুর্বিপাকে ভদ্রলােকের দুটি পুত্রই হঠাৎ মারা যায়। পুত্র বিয়ােগের পর ভদ্রলােকের স্ত্রীর মস্তিষ্কবিকৃতির লক্ষণ দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে তিনি কিছুদিন ভবানীপুরের উন্মাদ আশ্রমে রাখেন।

 Kolkata High Court কলকাতা হাই কোর্ট | File Type: audio/mpeg | Duration: 589

ভূতের বাসা সেখানেই, যেখানে মনের অন্ধকার। কিন্তু মনে আঁধার তো আর খামোখা ঘনায় না। তার পিছনেও থাকে কাহিনি। সেই সব কাহিনিতে ছায়া ফেলে ‘অতৃপ্ত আত্মা’র দল। নিঝুম রাতে গাঁয়ের বাঁশবাগান থেকে শুরু করে লন্ডন শহরের আলো ঝলমলে প্রাসাদ পর্যন্ত তেনাদের গতিবিধি। সেই তালিকায় শামিল কলকাতাও। এই শহরের একাধিক ভুতুড়ে বাড়ির কথা বাতাসে ভাসে। তবে সব থেকে জব্বর ভৌতিক আড্ডাটি বোধ হয় কলকাতা হাই কোর্ট। গথিক স্থাপত্যের আলো-আঁধারির বারান্দাময় এই বাড়িতে ঘটে গিয়েছে কত না নাটক! এই প্রাসাদেই কেউ দণ্ডিত হয়েছে বড়সড় অপরাধে, কারও বা হয়েছে ফাঁসির সাজা। এমন এক জায়গায় যদি ভূত না থাকে, তবে থাকবে কোথায়? কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী থেকে সাফাইকর্মী, অনেকের মুখেই শোনা যাবে ভূত নিয়ে বিচিত্র সব কাহিনি।

 রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন | File Type: audio/mpeg | Duration: 340

শেষমেষ ভৌতিক জায়গার তালিকায়ও চলে এলো রবীন্দ্রনাথের নাম! না, রবীন্দ্রনাথ এখানে ভূত হয়ে আসেননি। তবে তার নামে নামাঙ্কিত কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনটির সাথে অপমৃত্যুর খুব অস্বাভাবিক যোগাযোগ। আত্মহত্যার উপায় হিসেবে মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দেয়া কলকাতাবাসীর বেশ পছন্দের। এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, কলকাতার মোট আত্মহত্যার ৫০ শতাংশই নাকি হয় এই রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে। বলাই বাহুল্য, এভাবে স্টেশনটি পরিণত হয়েছে শহরের আত্মহত্যার কেন্দ্রস্থলে। আর এ কথা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেই স্থানে কেউ আত্মহত্যা করে, মানুষজন সেই স্থানটিকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে। একই কথা খাটে এই স্টেশনের বেলায়ও। কলকাতাবাসী না পারতে রাতের শেষ ট্রেনটি এই স্টেশন থেকে ধরে না। আর হাতেগোনা যে কজন এই স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়েন, তাদের দাবি, সন্ধের পর থেকেই নাকি আত্মহত মানুষদের আত্মারা এখানে আড্ডা বসায়। অনেকে তো স্বচক্ষে বিভিন্ন ছায়ামূর্তিকে ঘুরে বেড়াতে দেখার দাবিও করেন।

 Kolkatar Hanabari উল্টোডাঙার জমিদারবাড়ি | File Type: audio/mpeg | Duration: 452

ব্যস্ত,চঞ্চল শহর কলকাতার বুকে হানাবাড়ির উপস্থিতি অস্বাভাবিক নয় অবশ্য। কারণ একটা সময় ছিল যখন সমগ্র বাংলাতে চলত জমিদারি শাসন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জমিদারই ছিল স্বৈরাচারী এবং অত্যাচারী। তাদের অত্যাচারের ইতিহাস প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু কিছু কিছু অজানা অলৌকিক সত্য জমিদারদের ভগ্নস্তূপে এখনও লুকিয়ে রয়েছে। সেরকমই একটি জমিদার বাড়ি হলো “উল্টোডাঙার জমিদার-কুঠি”।

 ভারতীয় জাদুঘর | File Type: audio/mpeg | Duration: 453

বিচিত্র সব শব্দ আর উদ্ভট ঘটনার রাজ সাক্ষী ভারতীয় জাদুঘর ও তার আশপাশের এলাকা। একবার জাদুঘরের ছাদের স্কাইলাইন পরিষ্কার করতে গিয়ে দুটি শোকেসের মাঝে চাপা পড়ে মারা যান এক দিনমজুর। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর! কিন্তু আজও যাদুঘরের বহু নাইটগার্ড দেখতে পান, রাতের অন্ধকারে কে যেন কাপড় মুড়ি দিয়ে বেড়িয়ে যায় প্রধান ফটক থেকে বা নেমে আসে ছাদের সিঁড়ি বেয়ে। এখনও নাকী মধ্যরাতে নর্তকীর নাচের শব্দ ভেসে ওঠে মিউজিয়ামের কোনও কোনও ঘর থেকে।

 Episode 7 | File Type: audio/mpeg | Duration: 57

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছর সবার খুব ভালো কাটুক এই শুভেচ্ছা রইল।

 বেগুনকোদর, আতঙ্কের আরেক নাম | File Type: audio/mpeg | Duration: 471

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন ভারতীয় দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের রাঁচি রেলওয়ে বিভাগের একটি রেলওয়ে স্টেশন।স্টেশনটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ঝালদা ও বেগুনকোদর শহরের মধ্যে রেলযোগাযোগ পরিচালনা করে।চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে এই স্টেশন মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। রেল মানচিত্রে এই স্টেশনের নাম বেগুনকোদর। পাকা ইমারতের স্টেশন বিল্ডিং, রেল কোয়ার্টার্স—সবই রয়েছে। এক সময় নাকি স্টেশন লাগোয়া বড় বাজারও ছিল। এখন সে সবই অতীত। রেললাইনের ধারে সারা রাত হানাবাড়ির মত পড়ে থাকে পুরুলিয়ার জেলার কোটশীলার এই বেগুনকোদর স্টেশন।পুরুলিয়ার বেগুনকোদর রেলস্টেশন। দেশের রহস্যজনক ভুতুড়ে স্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম এই রেলস্টেশন। আজ থেকে নয়, বহু বছর থেকে পুরুলিয়ার এই বেগুনকোদর স্টেশন ভূতের তকমা গায়ে মেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে।শোনা যায়, আজ থেকে কয়েক দশক আগে এই বেগুনকোদর স্টেশন তৈরী হওয়ার পর একজন স্টেশন মাষ্টার সস্ত্রীক সেখানে বদলি হয়ে রেলের চাকরি নিয়ে আসেন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কোনও এক রাতে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল ওই স্টেশনমাষ্টার ও তাঁর স্ত্রীর। পরে স্টেশন সংলগ্ন একটি কুয়ো থেকে তাদের দেহ উদ্ধার হয় বলেও শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, আততায়ীদের হাতে খুন হয়েছিলেন সস্ত্রীক স্টেশনমাষ্টার আবার কারোর মুখে শোনা যায়, তারা দুজনেই আত্মহত্যা করেছিলেন। তদন্তের পর পুলিশও তাদের মৃত্যুর বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারে নি। লোকমুখে প্রচলিত, এই ঘটনার পর থেকেই বেগুনকোদর স্টেশনে নেমে আসে কালো রাত।তৎকালীন সময়ে সারাদিন রাত বেগুনকোদর স্টেশন দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করত। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই লোকমুখে ক্রমে শোনা যেতে লাগল এই ষ্টেশনের নানান অলৌকিক কাহিনী। কেউ বলতেন, সন্ধ্যে নামলেই এই স্টেশনে নানারকম আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যায়, আবার কেউ কেউ বলেন এই স্টেশন দিয়ে ট্রেন পেরোলেই কোনও অশরীরী ছায়ামূর্তি ট্রেনের আগে আগে চলে যায়। ব্যস, সেই থেকে শুরু। বহু রেলকর্মীও একাধিক বার নানারকম ভূতূড়ে ঘটনার নিজেদের চোখে দেখার পর ভয়ে চাকরি ছেড়ে পালিয়ে যায় ধীরে ধীরে বেগুনকোদর ষ্টেশনের এই সমস্ত ভূতূড়ে কাহিনী নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলা থেকে শুরু করে গোটা দেশ জুড়ে। অশরীরী আত্মার ভয়ে সন্ধ্যা নামলেই শুনশান হয়ে যায় বেগুনকোদর স্টেশন চত্বর। ভয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ষ্টেশনের ত্রিসীমানায় আসা বন্ধ করে দেয় সাধারণ মানুষ। ভূতূড়ে এই ষ্টেশনের খবর রেলের কানে পৌঁছালে ধীরে ধীরে ওই রুটে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত লোকাল ট্রেন চলাচল। শুধুমাত্র পোড়ো বাড়ির মতো মিশ কালো অন্ধকারে ঢাকা পড়ে থাকে পুরুলিয়ার একসময়ের এই কোলাহলপূর্ণ স্টেশন।শুধুমাত্র আপ-ডাউন লাইনে কোনও দূরপাল্লার ট্রেন অন্ধকারের বুক চিরে চলাচল করে, তারপর আবারও নিকশ অন্ধকার গ্রাস করে বেগুনকোদর স্টেশনকে। কিন্তু এই ভূতূড়ে ষ্টেশনের ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই বিপাকে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। একেই তো এই ষ্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অশরীরী ঘটনার ভয় তারওপরে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে একে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে চরম সমস্যায় পড়েন পুরুলিয়া ও ঝালদা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের কয়কশো মানুষ। কারণ, আগে বেগুনকোদর স্টেশন থেকেই সমস্ত লোকাল ট্রেন যাওয়া আসা করায় বিভিন্ন জায়গায় তাদের কাজের জন্য যেতে অনেক সুবিধা হত, কিন্তু বেগুনকোদর স্টেশনে ভূতূড়ে ঘটনা আরম্ভ হওয়ার পর থেকে এবং যাত্রীরা বহুবার অলৌকিক ঘটনা চাক্ষুস করার অভিযোগ করায় একে একে সমস্ত ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। তাই সম্প্রতি এলাকার সাধারণ মানুষ স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বেগুনকোদর ষ্টেশনের গায়ে লেগে থাকা ভূতূড়ে কাহিনী তকমা ঝেড়ে ফেলতে সচেষ্ট হয়েছেন। যাত্রীদের সচেতন করতে নানারকম প্রচারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কেউ অপপ্রচার করলে তাদের বাধা দেওয়ার চেস্টাও চলছে। ২০০৭ সালে দ্বিতীয়বার বেগুনকোদর স্টেশনে দিনের বেলায় একটি লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এলাকার বাসিন্দারা চান দ্রুত এই ষ্টেশনের আধুনিকীকরন করে ফের আগের মতো ট্রেন চালু হোক পুরুলিয়ার বেগুনকোদর স্টেশন।এখনও স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, রাত নামলে হঠাৎ হঠাৎ এখানে দেখা যায় অদ্ভুত আলো। যত রাত বাড়ে, বাতাসে ভেসে আসে অদ্ভুত সব গন্ধ। মাঝে মধ্যেই নাকি শোনা যায় অশরীরী কণ্ঠস্বর। দিনের আলোতেও বেগুনকোদর মনে ত্রাস সঞ্চার করতে থাকে স্থানীয় লোকজনের। দিনের বেলাতেও অনেকেই নাকি কানের কাছে মানুষের গলা শুনে চমকে উঠেছেন অনেকে। চার পাশে তাকিয়ে কাউকেই নাকি দেখা যায়নি। অনেক সময়ে আবার লোকজনের গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে অশরীরী কেউ! আচমকা ধাক্কা খেয়ে সচেতন হয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু যাঁর সঙ্গে ধাক্কা লাগল, তাঁর দেখা মেলেনি! এমনই নানা গল্প স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে ফেরে।

 চিকতন দুর্গ, Chiktan Fort | File Type: audio/mpeg | Duration: 230

চিকতন কেল্লা পরিচিত ‘চিকতন খার’ নামেও। লাদাখের কার্গিল জেলার চিকতন গ্রামে নিঃসঙ্গ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে অতীতের খণ্ডহর। হিমশীতল বাতাস যেখানে বয়ে যায় অতীতের সাক্ষ্য হয়ে।কার্গিল শহর থেকে ৭৫ কিমি দূরে শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়ক থেকে আরও উত্তরে গেলে পাওয়া যায় এই কেল্লার ভগচিকতন দুর্গকে বাঁচাতে শেষে স্থানীয় বাসিন্দারা ভৌতিক গল্প প্রচার করে। যাতে ভগ্নাবশেষ থেকে দূরে রাখা যায় কৌতূহলীদের।্নাবশেষ।

 কুলধারা, Kuldhara | File Type: audio/mpeg | Duration: 325

শুধু সাহিত্যের পাতায় নয়। বাস্তবেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। সে রকমই একটি কুলধারা । সোনার কেল্লার শহর থেকে ১৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে এই স্থান অতীতে ছিল বর্ধিষ্ণু গ্রাম। কোনও এক রহস্যজনক কারণে রাতারাতি তা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। সারি সারি ঘর-রাস্তা-মন্দির নিয়ে একা একা পড়ে আছে অতীতের এই জনপদ। শুধু সেখানে থাকার কেউ নেই।থর মরুভূমির কোলে এই গ্রামের পত্তন হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকে। যোধপুরের পালিওয়াল সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণরা এখানে বসত গড়েছিলেন। তাঁরা কৃষি ও ব্যবসা দু’দিকেই দক্ষ ছিলেন। পালি থেকে এসেছিলেন বলে তাঁদের পালিওয়াল ব্রাহ্মণ বলা হত।১৮৯৯ সালে রচিত বই ‘তারিখ-ই-জয়সলমের’-এ উল্লেখ আছে কুলধারার। সেখানে বলা হয়েছে, কড়হান নামে এক পালিওয়াল ব্রাহ্মণ এখানে প্রথম বসত তৈরি করেছিলেন। গ্রামের ধ্বংসস্তূপে পাওয়া গিয়েছে তিনটি সমাধিক্ষেত্র। পাশাপাশি, ৬০০-র বেশি বাড়ির ভগ্নাবশেষ সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে।কুলধারা-সহ স্থানীয় ৮৩টি গ্রামে জনবসতি গড়ে উঠেছিল। জনশ্রুতি, ১৮২৫ সালে রাখিপূর্ণিমার রাতে জনশূন্য হয়ে পড়ে সেগুলো। রাতারাতি কর্পূরের মতো মিলিয়ে যান প্রায় ১৫০০ গ্রামবাসী। তবে বাকি গ্রামগুলোর নাম চাপা পড়ে গিয়ে মূলস্রোতে রয়ে গিয়েছে শুধু ‘কুলধারা’ নামটিই।কেন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে কুলধারা? নেপথ্যে আছে বহু জনশ্রুতি ও কিংবদন্তি। সে রকমই এক কাহিনি বলে, স্থানীয় সামন্ত শাসক সালিম সিংহ নাকি গ্রামের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। তিনি সৈন্য পাঠিয়ে হরণ করতে চেয়েছিলেন ওই কন্যাকে। কিন্তু গ্রামবাসীরা এক রাত সময় চেয়ে নেন। বলেন, পরের দিন এলে তাঁদের হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হবে।গ্রামবাসীদের ফন্দি বুঝতে পারেননি সামন্ত। তিনি অপেক্ষা করতে রাজি হয়ে যান। সেই সুযোগে এক রাতের মধ্যে পালিয়ে যান গ্রামবাসীরা। পরের দিন সকালে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁদের একজনকেও। সামন্তের কুনজর থেকে রক্ষা পান গ্রামের মেয়ে।কিন্তু গ্রামবাসীরা কি ফিরে যান আবার যোধপুরের পালিতে? নাকি নতুন বসতি গড়েন অন্য কোথাও? ইতিহাস সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব। কার্যত কর্পূরের মতো উবে যান তাঁরা।প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা কুলধারা ভৌতিক গ্রামে পরিণত হয়। দিল্লির প্যারানর্মাল সোসাইটি র দাবি, রাতভর এখানে অলৌলিক ঘটনা ঘটে চলে। আচমকাই নাকি কমে যায় তাপমাত্রা। রাতের অন্ধকার চিরে শোনা যায় আর্ত চিৎকার। বিশ্বাসীদের ধারণা, কুলধারার অতীত-বাসিন্দাদের আত্মা এখনও এই গ্রামের মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেনি।এ তো গেল জনশ্রুতি। ঐতিহাসিক তথ্য কী বলছে? অনেক গবেষকের ধারণা, যুদ্ধের প্রয়োজনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রামবাসীদের। তবে ঐতিহাসিক ও গবেষকদের বড় অংশের বিশ্বাস, খরার কারণেই জনহীন হয়ে পড়ে কুলধারা ও তার সংলগ্ন অন্যান্য গ্রাম।কুলধারার জলের উৎস ছিল ক্ষীণ কাঁকনি নদী আর গ্রামের কুয়ো। কিন্তু ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ শুকিয়ে আসতে থাকে গ্রামের কুয়োগুলি। ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে জল ছিল শুধু গ্রামের ধাপ-কুয়ো এবং আর দু’টি কুয়োতে। জলাভাবে কমে যায় কৃষিফলন। কিন্তু জয়সলমেরের রাজপুত শাসকদের রাজস্বের হার কমেনি এক বিন্দুও। তা মেটাতে নাভিশ্বাস উঠে যায় গ্রামবাসীদের।ধীরে ধীরেই হোক, বা রাতারাতি, জনশূন্য হয়ে পড়ে কুলধারা গ্রাম। আর কেউ কোনওদিন ফিরে আসেননি এই গ্রামে। এখন আসেন পর্যটকরা। ইদানীং রাজস্থান পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুলধারা। সোনার কেল্লার পাশাপাশি পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে ‘ভৌতিক’ কুলধারাও।

 Savoy Hotel Mussoorie সেভয় হোটেল মুসৌরী | File Type: audio/mpeg | Duration: 353

মুসৌরি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি পাহাড়ি শহর, যা পাহাড়ের রানী নামেও পরিচিত। দেরাদুন থেকে 35 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, মুসৌরি এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা প্রায়ই আসে। ... মুসৌরিও গঙ্গোত্রীর প্রবেশদ্বার। দেরাদুনে পাওয়া উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগৎ এর আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয়।গান্ধী চকে অবস্থিত স্যাভয় হোটেল, মুসৌরিকে খুব ভুতুড়ে বলে মনে করা হয়। এটি ভারতের সবচেয়ে ভুতুড়ে হোটেলগুলির মধ্যে একটি বলে জানা যায়। আমরা আপনাকে বলি, 1910 সালে, লেডি গার্নেট ওরমে রহস্যজনকভাবে মারা যান। কয়েক বছর পর, যে ডাক্তার লেডি গার্নেটের চিকিৎসা করছিলেন তিনিও এখানে হঠাৎ মারা যান। এরপর থেকে এই হোটেলে থাকতে আসা যে কোনো অতিথি এখানে কিছু অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে অভিযোগ করেন। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে এ ধরনের বিষয় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্যাভয়ের দেওদার গাছগুলি 300 বছরেরও বেশি পুরানো এবং এটি মুসৌরির প্রাচীনতম বলে মনে করা হয়, এমনকি 1826 সালে যে হিল স্টেশনটি তৈরি হয়েছিল তার থেকেও পুরানো৷ স্যাভয় এস্টেটটি যে কোনও পাহাড়ি স্টেশনের মধ্যে সবচেয়ে বড়, একরজগতের দিক থেকে। ভারতে হোটেল।গুজব আছে যে লেডি গার্নেট ওরমের ভূত মুসৌরির স্যাভয় হোটেলে থাকে। গল্পটি হোটেলে তার ওষুধের বোতলে স্ট্রাইকনাইন রেখে তাকে হত্যার কথা বলে। অনেক বছর পরে, তার যত্ন নেওয়া ডাক্তার একইভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গল্পটি বহুদূরে ছড়িয়ে পড়ে এবং এমনকি আগাথা ক্রিস্টি ক্লাসিক - দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলে পৌঁছেছিল। এটি ভারতের সবচেয়ে ভুতুড়ে হোটেলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।

Comments

Login or signup comment.